জল্লাদ - লিখেছেন - নুরতাজ উদ্দিন
উর্ধ্বশ্বাসে ধরছি বাজি
তেপান্তরে রক্তরাজি
আন্দালুসিয়ার তাগড়া ঘোড়া
বাঁধবে তোদের পিঠমোড়া
ঝেঁটিয়ে দেব সবকটাকে
নমরুদ তোর বাল্যসাথি
লাথি দিয়ে সেই নাম ফাটি
ঘেরাটোপে তোরা কোনঠাসা
নিবি এবার তুই কোন বাসা?
ব্যর্থ করে তোর সব আশা
রাঙাব আমরা খুন পাশা
নিত্য রাজি স্বপ্নেতে
বুনছি এ গান মন্সপটে
সত্যি আমি বলছি আজ
তোদের মাথায় পড়বে বাজ
ছিড়ে নেব তোর হাতটাকে
চিড়ে ফেলে তোর খোলটাকে
থেঁতে দিয়ে তোর ঘোলটাকে
চেপে ধরে তোর বোলটাকে
তুলে নেব তোর চোখটাকে
ভয়ে যাতে তোর গা কাঁপে
ফের যাতে আর না ওঠে
কাল-নাগিনীর ফোঁস সাপে
রক্তে তোদের স্নান করি
বোন-আপাদের শান গড়ি
মনের সাথে মান করি
বোল ভুলিয়ে কান ধরি
ছেলে খেলানো গাল বলি
কিন্তু,যায় কি তাতে দাগ গলি?
শাড়ির পাড়ে কাল্ কালি
লোকের চোখে খালবালি
বুক মাঝারে প্রাণ খালি
হাঁট-বাজারে দুই তালি
বাপের মুখে “কেন গেলি?”
এমন দেশের প্রাণ যারা
হারায় কি সে আর, মান ছাড়া ?
।। ।।
বিচারের রায় কালো কর্তায়
ফিরে গিয়ে মোর ঘাড়ে বর্তায়
সব দোষ নাকি ওই কালো পর্দায়
না পড়িলে নাকি চোখ তর্পায়।
ডোপামিন নামে নাকি এক হরমোন আছে
ফুলে ফেঁপে গিয়ে নাকি ওঠে কলাগাছে
একবার রেগে গেলে কে সামলায়
কাঁচকলা দেখে দিয়ে জেতে মামলায় ।
গ্রাফিতির দেয়ালে যদি হয় প্রতিবাদ
চোর এসে মুছে দেয় দিয়ে গালে হাত
আইনেই থাকে যদি এত প্রতিঘাত
কেন তবে মিছে আশায় করি অশ্রুপাত?
হারকিউলিস বাবা তোর প্রয়োজন খুব
আয় আবার জ্বেলে যা সন্ধ্যার ধূপ
লাশের মোড়কে যদি হয় হাত চুপ
হোক তবে এভাবেই এজলাসে রূপ
তাও যদি পাই আবার বাংলা স্বাধীন
ধর্ষক পশুতে যা ছিল পরাধীন ।