গল্পটার শুরু ঈদ পূর্ব দিন থেকে। মারকেটিং তো সেই কবেই শেষ। নতুন বাহারি কাপড় চোপড়ের ঘ্রান নাসিকা হয়ে মোটর স্নায়ুর মাদ্ধমে উদ্দিপনায় গেলেই হলো। অবশ্য প্রতিবর্তী ক্রিয়ার ন্যয় তেমন না হলেও অন্যরকম আকর্ষনে গিয়ে সেই ঈদ ড্রেস গুলো খুলে পিলে দেখতাম।
অত্যন্ত গোপনে,সতর্কতার সহিত,পিন পন নিরবতায়।কারন আম্মু এলেই কিংকর্তব্যবিমুঢ়!
বকা --"কতোবার দেখবিআর। আমি আর কতো সহ্য করবো।"
এই দর্শন লগ্ন কতোবার চলবে তা নিজেদের অভিপ্রায়ের উপর নির্ভর করতো।অনেক সময় দেখতে দেখতে কাপড় গুলো প্রায় পুরোনোই করে ফেলতাম।মন চায়তো আবার...
1.প্রতিবারিতো মেয়েদের বিভিন্ন ড্রেস বের হতো।
যেমনঃরাশি,,পাখি,,কিরনমালা,,এইবার সুযোগ হলে *করোনা*।
2.তারপর আসে চুলকাটা।এই নিয়ে আমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। কারন ম্যাক্সিমাম সময় মা আমাকে নিয়ে যেতেন।আর মায়ের অতি আদর্শ সন্তান হিসেবে মায়ের বলা কাট বরণ করে নিয়ে ঘরে এসে কাদতাম।
3.এরপর আসে মেহেদী লাগানো।মেহেদী বেশিরভাগ গাছ থেকে নেয়া হত।মেহেদী নিয়ে শিলে বাটতো।তারপর বয়োজ্যেষ্ঠ কেও লাগিয়ে দিত।অতঃপর ঘুমিয়ে....
লক্ষ্য একটাই সবার চেয়ে কালো হওয়া চাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে গেলে ডিপ্রেশনে পড়ে যেতাম।এবড়ো থেবড়ো গালের এ পাশ ওপাশ লেগে থাকতে দেখে।
4.তার পর ধরুন চাঁদ দেখা।চাঁদ দেখতে পেয়েই বড় একটা চিৎকার।আজকাল তো চাঁদ ই দেখা যায় না।
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে যেতাম।কারন চোখ বুজলেই সকালের দর্শন তাড়াতাড়ি হয়।সাথে ঈদের শপিং গুলো বুকে জরিয়ে।কিন্তু সেকি? ঘুমি আস্তে ছায়ত না।আর এখন ইমো ফেসবুকে টুইটারে টুইট করতে করতেই রাত সেশ।
5.তখন খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠেই হকচকিয়ে জেতাম। এই বুজি ইদ শেষ ।শিত এর সকাল থাকতো।সকালের আকর্ষন তাড়াতাড়ি ঈদ উপলক্ষে বসা দোকানে গমন।
তারপর তারাতারি গোসল করে পেলতাম।অতপর মোটামুটি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সালামি at নিজের বাড়ি। পকেটে ভর্তি টাকা কড়ি নিয়ে চলে যেতাম গুলি বারুদ কালেকশান করা স্টলে।
মোবাইল কিনতাম।ধুমপা চলে ধুম....!
ইদের নামাজ শেষ করে বাড়িতর সেমাই চিনি খেয়ে হানা দিতাম আত্তিয়ের বাড়ি।
তারা কিই বেতি ব্যস্ত হয়ে যেতেন।ম্অনে মনে বলতাম জা খাওয়ার তাতো বারিতেই খেলাম। আল্মারি টা খুল্লেই তো হয়।সন্ধাই ইদ চলে জাওয়ার দুক্ষ করতাম।
আর জাই হোকএইবার কিন্তু
চাঁদ উঠেছে আকাশে
সালামী নিবো বিকাশে।
সেই আনন্দ সময়ের ব্যাপকতায় হারিয়ে যাচ্চে।এখন তো সতর্ক মতো মেহেদী দিয়ে রেখে দিই।কিন্তু আগের মতো লাল হয়না।
সালামীতো পাই তবে আজ কাল আগের সেই আমেজ আর নেই। ধীরে ধীরে প্রাণচঞ্চাল্যতা হারিয়ে যাচ্ছে ।
হারিয়ে যাচ্ছে সেই আনন্দ,সময়ের ব্যাপকতায়।এখন তো আসিই নাড়ি টানে গ্রামে ইদ আনন্দে
কিন্তু সেই আমেজ আর নেই। তবুও এসেই যাবো। অতীতকে স্মরণ করবো।আর মিলিয়ে দেখবো।
রচনা করবো এই সময়ের থেকে ভবিষ্যৎ কোনো সময়ের Eid Evolution!
#stay_home
# stay_safe
(আমার ছেলেবেলা ২০১৪~২০২০)