বাঙালি জাতি কখনো কখনো কারো সাথে বড়ই অবিচার করে। এই দেখুন না প্রচলিত এক কথা আছে ,"লোকমুখে কান দিতে নেই"। অথচ, ইতিহাসের বেলায় ঐ লোকমুখকেই মনে প্রাণে মেনে নেয়া হয়। কখনো বিবেচনায় আনা হয় না মূল ঘটনা কি সতিই এরকম কিনা।
বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দোলার পরাজয়ের জন্য, যে মীর জাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলে গালমন্দ করা হয়। একটু ভেবে দেখুন তো, মীর জাফর যা করেছিলো তা সেই সময়ের সমাজে নতুন কোনো বিষয় ছিলো কি?! সিরাজের নানা নবাব আলিবর্দি কি তার সিংহাসন উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছিলেন ...? -"না!" তিনিও তা ছিনিয়েছিলেন আরেক নবাবের কাছ থেকে! তাহলে ভেবে দেখুন তো, আলিবর্দি যা করেছেন, তা সকল রাজা-নবাব-বাদশাহ করেছেন, আর তাতে বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলেছিলো কি বাঙালি?? মীর জাফর যা করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয় নয়। কিন্তু তাকে বিশ্বাসঘাতক বলে, সিরাজকে নায়ক দাবী করাটা যুক্তিযুক্ত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে!
ইংরেজদের বিরুদ্ধ পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের মূল কারণ সবাই ধরে নিয়েছেন "মীর জাফর আলি খান"কে! আর তাতে ঢাকা পরেছে, নবাব সিরাজের অপরিণামদর্শীতা আর অপরিপক্বতা!!
আজও ইতিহাসকে অতি রঞ্জিত করার লক্ষ্যে সিরাজকে অমায়িক বুদ্ধিমান প্রমাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্বদেশ। পরিশেষে, মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা ঘৃণার যোগ্য; তবে, অবিচার করে সমস্ত দোষ তার উপর দেওয়া কতোটা সঠিক তা জানিয়ে বাধিত করবেন। মূল অনুপ্রেরণা: মোস্তফা বাবু স্যার ,প্রভাষক,নটরডেম কলেজ
লেখক: শরফুদ্দিন চিশতী জগতের মায়া কাটাতে ব্যস্ত, সাধারণ এক কিশোর :)