গোয়েন্দাগিরিঃ শূন্য হতে অবধি - লিখেছেন - জুনায়েদ ইসলাম
গোয়েন্দা!!রহস্য!! শব্দ দুটি শুনলেই একটু নড়েচড়ে বসতে হয়। কেননা সাহিত্যের একটি বিরাট জনপ্রিয় শাখা হচ্ছে এই ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা গল্প। সাহিত্যের অন্যান্য শাখার জনপ্রিয়তায় বেশ উজানভাটি দেখা দিলেও গোয়েন্দা গল্পের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বৈকি এতটুকুও পর্যন্ত কমে নি। আমি নিজেও একজন ডিটেকটিভ লাভার। সময় পেলেই ডিটেকটিভ গল্প পড়তে ভালোবাসি। তবে খুব যে বেশি জানি তা কিন্তু না যতটুকু জানি তা পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র এটি। গোয়েন্দাকাহিনি পাঠক সমাজের দৃষ্টি বেশি কেড়েছে, এই যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার শুরুটা ছিল ছিমছাম এবং খুব বেশি দিন আগেরও কিন্তু না। আমরা যদি সাহিত্যের দিকে নজর দেই তাহলে দেখতে পাব যে, ভারত, চীন, গ্রিস, ইউরোপের প্রাচীন সাহিত্যে অল্প কিছু গল্পের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ,কিন্তু আমরা যদি আধুনিক গোয়েন্দা সাহিত্যের দিকে নজর দিতে আসি বা আধুনিক গোয়েন্দা সাহিত্যকে তুলে ধরতে যাই তাহলে সবাই এক বাক্যে মেনে নিতে রাজি হব যে, মার্কিন সাহিত্যিক এডগার এলান পোর মাধ্যমেই আধুনিক গোয়েন্দা সাহিত্যের জন্ম হয়েছে। যদিও এই স্বীকৃতি দেয়া বা না দেয়া নিয়ে অনেক মতবাদ চালু আছে সেটা নিয়ে অন্য কোনো দিন অন্য কোনো পর্বে বলব।
”রহস্যের বেড়াজাল”
গোয়েন্দা কাহিনীগুলোর কাঠামোটা কিন্তু খুবই ছিমছাম প্রকৃতির। সাধারণভাবে গোয়েন্দার কাছে রহস্য আসবে। তারপর রহস্য আরো জট পাকতে থাকবে। যিনি গোয়েন্দা থাকবেন তিনি সবার দিকে কড়া সন্দেহের দিকে তাকাবেন কাউকে বাদ দেবেন না। এর মধ্যে কখনো কখনো দু-একজন খুনও হয়ে যেতে পারে বা আরো বেশি কিছুও হয়ে যেতে পারে সেটা লেখক বিশেষে পার্থক্য আছে। তারপর দেখা যাবে রহস্য উন্মোচনে তৎপর হয়ে উঠবে গোয়েন্দা (মাঝে মাঝে গোয়েন্দার সাথে তাঁর সহকারীও থাকে) এবং একসময় নিজের অসম্ভব বুদ্ধি খাটিয়ে জেনে যাবে সবকিছুর পেছনে কে ছিল মাস্টারমাইন্ড!!তারপর সবাইকে এক জায়গায় ডেকে এনে ধরিয়ে দেবে আসল অপরাধীকে ।পুরো গল্পটা বলতে থাকবেন গোয়েন্দারই কোনো এক স্বল্পবুদ্ধির সহকারী বা বন্ধু।
“গোয়েন্দাকর্মে ব্যবহৃত উপাত্ত”
আর এই রীতিকেই প্রথম অনুসরণ করেন এডগার অ্যালান পো। আর তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র অগাস্ত দুপাঁই হচ্ছে প্রথম আধুনিক গোয়েন্দা। অ্যালান পোর এই রীতি অনুসরণ করেই ডিটেকটিভ স্টোরি লিখতে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কোনান ডয়েল, আগাথা ক্রিস্টি থেকে শুরু করে বাংলার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায় সবাই। মাঝে মাঝে হয়তো গল্পের প্রয়োজনে একটু এদিক সেদিক নড়তে হয়েছে কিন্তু এই মূল রীতি থেকে কেউ সরে যান নি। আর এভাবেই আমরা পাঠক সমাজরা গোয়েন্দা জুটি বা একক গোয়েন্দাগুলোর সাথে পরিচিত হই যেমনঃ শার্লক হোমস-ওয়াটসন (ডয়েল), মিস মারপল, ব্যোমকেশ বক্সী-অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়(শরদিন্দু), মিসির আলি, টেনিদা, তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা-তোপসে(সত্যজিৎ), জেমস বন্ড, মাসুদ রানা, আঙ্কল আবনার, দ্যা ওল্ডম্যান ইন দ্যা কর্ণার, ইন্সপেক্টর মেগ্রে, এরকুল পোয়োরো-ক্যাপ্টেন হেস্টিংস(আগাথা) প্রমুখ। এখন কথা হচ্ছে অধিকাংশ গোয়েন্দাকাহিনীর লেখক কেন এই রীতিটাকেই বেঁছে নিলেন ???কেন অন্য ধারায় গল্পগুলো ফাঁদলেন না??? ইন্টারনেট একটু ভালোমতো ঘাটলেই এর উত্তর সহজে পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে বেশি পাঠক গ্রহণীয় বিখ্যাত ইংরেজ রহস্যোপন্যাস লেখক ডরোথি এল সোয়ার্স (“লর্ড পিটার উইমসে” এর মতো বিখ্যাত রহস্যোপন্যাসের স্রষ্টা) এর মতে, অ্যালান পোর এই রীতিতে দেখা যায় মূল লেখক গল্পের পেছনে লুকিয়ে থেকে গোয়েন্দার সহকারীকে দিয়ে কাহিনী লিখিয়ে নেয় বা বলাতে থাকে। এর একটি সুবিধা হচ্ছে লেখক এতে চরিত্রগুলো খুব সুন্দরভাবে পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন। কিছু সূত্র ধরিয়ে দেন গল্প বর্ণনাকারীর মাধ্যমে যাতে পাঠক গল্পে আরো সম্পৃক্ত হয়ে যেতে পারে এবং গল্পের শেষটা না জানা পর্যন্ত যাতে পাঠক মনোযোগ হারিয়ে না ফেলে। এই প্রক্রিয়ায় সবগুলো সূত্র অতি গোপনে সযত্নে রাখা হয় যাতে অতি বুদ্ধিমান গোয়েন্দা সবশেষে রহস্য উন্মোচন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। আরেকটা সুবিধা হচ্ছে রহস্য উন্মোচনের পর কাহিনিকারদের দিয়ে সহজেই গোয়েন্দার প্রশংসা করানো যায়। লেখক যদি নিজের বয়ানে এমন প্রশংসা করত সেটা প্রকারান্তরে নিজের প্রশংসাই হয়ে যেত...
”দ্যা মার্ডার ইন দ্যা রু মর্গস ম্যানুস্ক্রিপ্ট”
“শার্লক হোমস”
”ইন্সপেক্টর মেগ্রে”
\
”দ্যা ওল্ড ম্যান”
”ডাঃথর্নডাইক”
”রেফলস”
”স্যাম স্পেড”
“ব্ল্যাক মাস্ক”,”এ ম্যান কল্ড স্পেড”,”দ্যা এডভেঞ্চার অফ স্যাম স্পেড”-ড্যাশিল হ্যামেটের তৈরি প্রথম ভিন্নধারার গোয়েন্দার আবির্ভাব।আর এই ধরনের নাম হার্ড বয়েল্ড । এই ঘরানায় প্রথম সার্থক গোয়েন্দা স্যাম স্পেড। লেখক নিজেও ব্যক্তিজীবনে পিংকারটন ন্যাশনাল এজেন্সীতে ছিলেন সেখানের অভিজ্ঞতার আলোকেই রচিত গল্প এগুলো। এই গোয়েন্দা ক্লায়েন্টের জন্য অসাধু পথে যেতে রাজি। এদের সবসময় প্রতিপক্ষ ছিল সংঘবদ্ধ অপরাধীর পাশাপাশি দূর্নীতিপরায়ণ পুলিশ। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর প্রভাব এখানে স্পষ্ট পাওয়া যায়।
”ম্যাক্স কারাডোস”
”নেরো উলফ”
"ফাদার ব্রাউন"
“ফাদার ব্রাউনঃদ্যা এসেন্সিয়াল টেলস”,”দ্যা ইনোসেন্স অফ ফাদার ব্রাউন”,”দ্যা ফাদার ব্রাউন অমনিবাস”- গিলবার্ট কিথ চেস্টারটন এর সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র এই ফাদার ব্রাউন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ফাদার ব্রাউন একজন ধর্মযাজক। গির্জার পাদরী। একজন গির্জার পাদরীই হয়ে ওঠে আস্ত এক গোয়েন্দা চরিত্র। বগলে বিশাল ছাতা,মাথায় টুপি আর ছিমছাম পোশাক দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে সে একজন গোয়েন্দা হতে পারে। শুধুমাত্র প্রজ্ঞার উপর নির্ভর করেই সে জটিল রহস্য ভেদ করে ফেলে। তার সুবিধা হচ্ছে গির্জার পাদরী হওয়াতে মানুষ তাঁর কাছে এসে পাপ স্বীকার করে এভাবে সে মানুষের মনস্তত্ত্ব ঢুকতে পারে যার জন্য রহস্যে পড়লে নিজেকে সে জায়গায় বসিয়ে ভেবে রহস্যের ঝট খুলে দেন যেমনটা বাংলা গোয়েন্দা চরিত্র মিসির আলির ক্ষেত্রে দেখা যায়।
"আংকল আবনার"
“আংকল আবনারঃমাস্টার অফ মিস্টিরিয়াস”-এই সংকলনের অনেক বই লিখে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেলভিন ডেভিসন পোস্ট।তার সৃষ্ট চরিত্র হচ্ছে আংকল আবনার। খুবই সাধারণ একজন মানুষ তিনি।গ্রামের সবাই আংকেল বলে ডাকে। ধর্মভীরু তিনি।বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই তাঁর পরিবর্তে আছে সাধারণ কান্ডজ্ঞান ও পর্যবেক্ষণশক্তি ,সরল যুক্তিবোধ আর বাইবেলের প্রতি প্রেম ও জ্ঞান।এগুলো সম্বল করেই রহস্য উন্মোচিত করেন তিনি । তার গল্প আমাদেরকে শোনান তাঁর এক নাতি। সাধারণ ধাঁচেই এগিয়ে যায় তাঁর গল্প।গোয়েন্দা গল্পের নিয়ম অনুসারেই সে কেস সলভ করে থাকে।
"জাজ ডি"
এবার চলুন চীনাদের রহস্য সাহিত্যে একটু ঢু মেরে আসি। চীনাদের ইতিহাস আমরা সবাই জানি যে হাজার বছরের পুরোনো। এদের রচনার প্লট হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয় যার জন্য রহস্য গল্পে ফেলা যায় না এদের। কখনো শুরুতেই ফাঁস হয়ে যায় অপরাধীর চরিত্র আবার কখনো ঢুকে পড়ে ভূতপ্রেত আবার কখনো দার্শনিক আলোচনা। “দ্যা চাইনিজ গোল্ড মার্ডারস”, ”দ্যা চাইনিজ বেল মার্ডারস”,”দ্যা লেকুইয়ার স্ক্রিন”- ওলন্দাজ চীনা সাহিত্যবিশারদ রবার্ট ভ্যান গুলিক প্রথম গোয়েন্দা গল্পের রীতি ও আবহ বজায় রেখে তৈরি করেন গোয়েন্দা চরিত্র জাজ ডি। ডি বলে কিন্তু আসলেই একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিল। গুলিকের লেখায় ডি টাং যুগের একজন আঞ্চলিক ম্যাজিস্ট্রেট,বদলি হয়ে নানা জায়গায় যায় আর রহস্যে জড়িয়ে পড়ে। নজর কাড়া বিষয় হচ্ছে প্রতিটা বইয়ে একসাথে তিনটি কেস নিয়ে কাজ করে এই গোয়েন্দা। আর এজন্য এই চরিত্রটি খুব নাম করেছে।
অনেক তো বিশ্ব সাহিত্যে ঘোরা হলো এবার বঙ্গে ফিরে আসি।আমাদের বঙ্গেও কিন্তু নেহাত কম নয় গোয়েন্দার সংখ্যা।বাঙালি গোয়েন্দা গল্পে পাশ্চাত্যের আবহ থাকলেও আমাদের বাঙালি গোয়েন্দাগুলো বেশ সাধারণ।
”ব্যোমকেশ বক্সী”
”ফেলুদা”
কাকাবাবুকে আমরা সবাই চিনি। তাঁর আসল নাম রাজা রায়চৌধুরী। তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গু হন। সব ঘটনায় তাঁর সাথী ক্রাচ। তাঁর বিশেষ বন্ধু নরেন্দ্র ভার্মার ভাইপো সন্তু ওরফে সুনন্দ রায়চৌধুরী আর সন্তুর বন্ধু জোজোকে নিয়ে অনেক অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পরতে দেখা যায় তাকে। প্রতিটি উপন্যাসে নতুন নতুন জায়গার কথা উল্লেখ থাকে। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও অদম্য সাহস, মনের জোর আর নানা বিষয়ে অভূতপূর্ব জ্ঞান থাকায় সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারেন তিনি। কাকাবাবু অবিবাহিত। মানচিত্র দেখা তাঁর শখ। ম্যাপ দেখতে ভালোবাসে। কোথাও যেতে হলে সে জায়গা সম্পর্কে আগে পড়াশোনা করেন।
মিসির আলি কে আমরা সবাই চিনি। হুমায়ূন আহমেদ এর কালজয়ী চরিত্র এটি। মিসির আলি যুক্তিনির্ভর একজন মানুষ বলেই অনেক সাহসী। ভূতাশ্রিত স্থানেও রাত কাটাতে পিছপা হোন না। বরং এজন্য থাকেন যে তাতে তিনি রহস্যময়তার ব্যাখ্যা দাঁড়া করাতে পারেন। তিনি হৃদয়বান,তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী। “ফিফটি ফাইভ” ব্রান্ডের সিগারেট খান তিনি। তিনি আত্মভোলা। অসাধারণ স্মৃতিশক্তি তার।মানুষের মন, আচরণ, স্বপ্ন এবং নানাবিধ রহস্যময়তার অসীম আগ্রহ রাখেন। যুক্তিনির্ভর মানুষ কিন্তু আবেগপ্রবণ।
অর্জুন হলো সমরেশ মজুমদার এর সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় একটি গোয়েন্দা চরিত্র। এই সিরিজের প্রথম বই খুনখারাপি প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। এই সিরিজ টা মূলত উত্তরবঙ্গ কে কেন্দ্র করে। তবে এর বাইরেও অনেক অভিযান আছে। অর্জুনের গুরু প্রাক্তন গোয়েন্দা অমল সোম। এছাড়াও আছে মজাদার চরিত্র মেজর এবং বিষ্টুসাহেব । অর্জুন ও নিজেকে সত্যসন্ধানী বলে থাকে।
”তিন গোয়েন্দার রাজত্ব”
টেনিদা বা টেনি বা ভজহরি মুখার্জী হলো নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। কলকাতার পটলডাঙার আশেপাশে বসবাসরত চার তরুণ ছেলেদের একটি দলের নেতা টেনিদা পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলেন না। সাত বারের চেষ্টায় মাধ্যমিক পাশ করে সে। সে বিখ্যাত ছিল তাঁর খাড়ার মত নাকের জন্য। গড়ের মাঠে গোরা পেটানোর জন্য। আর তাঁর বিখ্যাত সংলাপ ,”ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস ইয়াক ইয়াক “। সে তাঁর বন্ধুদের নিয়ে যাওয়া অ্যাডভেঞ্চারের গল্প শোনায়ও রহস্য সমাধান করে।
”মাসুদ রানা”
আরেক ধরনের গোয়েন্দা আছে যারা ব্যক্তিগত নয় সরকারী বাহিনীর গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করে। এই ধারায় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে জেমস বন্ড। বাংলাদেশের জেমস বন্ড হচ্ছে মাসুদ রানা। বন্ডের মতো মাসুদ রানাও গুপ্তচর।অসম্ভব বলে কোন শব্দ তাঁর ডিকশনারিতে নেই। বিভিন্ন বন্ধুর সাহায্যে সে প্রতিপক্ষের চক্রান্ত নস্যাৎ করে ফেলে ।এটি বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ও জনপ্রিয় সুপারহিরো। বাংলাদেশের কিশোর সমাজের পাশাপাশি তরুণ সমাজেও সমানভাবে জনপ্রিয় এই চরিত্র।
”গোয়েন্দা রাজ্য”
আরো অনেক গোয়েন্দা চরিত্র আছে। যেমনঃএমিল ও গোয়েন্দা বাহিনী, ডিটেকটিভ কর্ণেল, নারায়ণ স্যানাল, পাণ্ডব গোয়েন্দা, মেঘনাদ, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে লেখা শুরু করলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো লেখকের লেখনীর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নতুন কোন গোয়েন্দা চরিত্র। অনেকে গোয়েন্দাগল্পকে সাহিত্যে জায়গা দিতে নারাজ কিন্তু তাতে আমাদের মতো পাঠকদের বয়েই গেল। ১৮ শতকের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া গোয়েন্দা গল্পের জনপ্রিয়তা আজ পর্যন্ত একটুও কমে নি বরং বেড়েছেই। গোয়েন্দা চলচ্চিত্র গুলোর কল্যাণে জনপ্রিয়তা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার মতো যারা গোয়েন্দাগল্প ভালোবাসে তাদের জন্য এগুলোই যেন স্বর্গ মনে হয়। আপনি যদি গোয়েন্দাগল্প কখোনো না পড়ে থাকেন তাহলে একবার পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি গোয়েন্দাগল্পের প্রেমে পড়তে খুব বেশি দিন লাগবে না ।